নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীতে মহাখালী রাজউক অফিসে এক আর্কিটেক্টসহ একটি প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তাকে পিটিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বনানী থানা ছাত্রলীগের দুই সহ-সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১৫ মার্চ দুপুরে মহাখালী রাজউক ভবনের ষষ্ঠ তলায় মসজিদের পাশে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই রাতেই সাতজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন আর্কিটেক্স লিমিডেট নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক্সিকিউটিভ অ্যাডমিন ভুক্তভোগী মো. কামরুল হাসান। পরে ওই রাতেই প্রধান আসামি বনানী থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. ইনজামামুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এছাড়া রবিবার (২১ মার্চ) মহাখালীর রাজউক ভবনের স্টোররুম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার আরেক আসামি বনানী থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিব হোসেনকে। তাকে আজ (সোমবার) আদালতে হাজির করা হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহাখালী পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এসআই রাজীব তালুকদার জানান, মামলার দ্বিতীয় আসামি রাকিব রাজউক ভবনে চাঁদাবাজির একই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে খবর পেয়ে তারা রবিবার (২১ মার্চ) সকালে অভিযানে যান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান রাকিব। পরে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা তল্লাশির পর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ভবনের ষষ্ঠ তলায় বাথরুমের ওপর অন্ধকার স্টোররুমে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আজ আদালতে হাজির করা হবে।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী কামরুল হাসান জানান, একটি নকশার অনুমোদন কাজের জন্য গত ১৫ মার্চ দুপুরে তার প্রতিষ্ঠানের সহকারী আর্কিটেক্ট ফাহিম শাহারিয়ারকে নিয়ে তিনি রাজউক অফিসের ড্রাফসম্যান মো. কামরুল ইসলামের কার্যালয়ে যান। কিন্তু ওই কর্মকর্তা অফিসে না থাকায় তারা সেই কক্ষেই অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় অচেনা কয়েকজন যুবক নিজেদের ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে দালালদের মাধ্যমে কাজ না করায় ওই দুই কর্মকর্তাকে গালমন্দ করেন। তাদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে ড্রাফটসম্যান কামরুল ইসলাম কক্ষে ফিরে আসেন। সেই সময় তারা চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে যুবকরা ড্রাফসম্যানের সামনেই তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। প্রতিবাদ করলে ওই যুবকরা তাদের মারধর করতে করতে কক্ষের বাইরে নিয়ে ৩১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার সময় দুই যুবক একজন আরেকজনকে ইনজামামুল ও রাকিব নাম ধরে ডাকছিল। বিষয়টি রাজউক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান ভুক্তভোগীরা। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ওই দিন রাতেই বনানী থানায় মামলা করেন কামরুল হাসান।
এ ব্যাপারে বনানী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ব্যক্তিগত কাজে কেউ গ্রেপ্তার হলে সংগঠন অবশ্যই দায়বহন করবে না। তারপরও আমরা দায়িত্বশীল জায়গা থেকে ওদের বিরুদ্ধে সংগঠন এর ইমেজ ক্লিয়ার রাখার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিবো।